Happy Birth Day

Friday, July 22, 2011

বাংলা কৌতুক


 For hot news click here





001

ট্রেনে বিরস বদনে যাচ্ছেন এক ভদ্রলোক, সাথে ৩টা ছোটো ছোটো বাচ্চা, পাশের যাত্রী আগ্রহী হয়ে বললেন, আপনি কি করেন?
আমি কন্ডোমের সেলসম্যান
ও আচ্ছা আচ্ছা খুব ভালো, খুব ভালো
তো ছেলে মেয়েগুলোতে আপনার না কি?
নাহ আমার না,
তাহলে? বিস্মিত ভদ্রলোক প্রশ্ন করলেন
ওগুলো কা
কাস্টোমার কমপ্লেইন

002
এক চার্চে পাদ্রি নির্বাচন করা হচ্ছেমিস্টার জন নির্বাচক, তিনি ঠিক করলেন, যে সবচেয়ে পার্থিব ভোগের উর্ধে তাকেই নেয়া হবে৩ জন প্রার্থী আবেদন করল এখন ৩ জনেরই বিশেষ অঙ্গে ঘন্টা লাগানো হল যাতে ওই জিনিস দাঁড়ালে ঘন্টা বেজে উঠেএইবার তিনজনের সামনে এক সুন্দরীকে এনে প্রথমে বুকের কাপড় খুলে ফেলা হল
বাকিটা ১ম কমেন্টে দেখুন............ একজনের ঘন্টা বেজে উঠল এবং সে বাদ পড়লএইবার সুন্দরীর নিচের কাপড় খুলে ফেলা হলআরেকজনের ঘন্টা বেজে উঠল এবং বাদ পড়ল, রইল বাকী এক
নির্বাচক মিস্টার জন বললেন তার মানে আমরা আমাদের পাদ্রি পেয়ে গেছি, তুমি সমস্ত ভোগ-কাম-লালসার উর্ধে... এইসব বলতে বলতে তাকে জড়িয়ে ধরলেন, সাথে সাথে ঘন্টা বেজে উঠল

Monday, July 18, 2011

আওয়ামীলীগ নেতাদের যৌন কেলেঙ্কারি

for read in english click below the link
http://maheshpurnewsonline.blogspot.com/
 
খুলনা, জুন 29 (UNB) - দুই আওয়ামীলীগ নেতার যৌন সম্পর্ক স্হাপনের ভিডিও ক্লিপস ইন্টারনেটের মাধ্যমে  ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায়  শহরের অভিভাবকরা  উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে.

প্রায় 10 মিনিটের ভিডিও চিত্রে খোকন চন্দ্র মন্ডল  স্থানীয় আওয়ামীলীগ  নেতা এবং  মুক্তিযোদ্ধা কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এবং ভগবতী গোলদার, মহিলা আওয়ামী লীগ আহবায়ক এবং বাটিয়াঘাটা উচ্চ স্কুল এর সহকারী শিক্ষক মধ্যকার যৌনসম্পর্ক স্থাপনের দেখিয়েছে.

ভগবতী 35, বিবাহিত এবং 2 সন্তানের মা . তিনি  উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক.

খোকন চন্দ্র 45,  বিবাহিত এবং অভিযোগ উত্থিত হয়েছে নিজেক সুরক্ষার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের আশ্রয় নিয়েছে.

স্থানীয়রা বলেন ভগবতী এবং খোকন এর মধ্যে গভীর প্রেম ছিল. সম্প্রতি খোকন গোপনে মোবাইল ফোন ভিডিওটি ধারন করে. ভগবতীর সাথে দুরত্ব সৃষ্টি হওয়ায় রাগের বশে তা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়।
খোকন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
  বাটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বলেন তিনি ভিডিওটি দেখেছেন. "এটা সংবাদ হওয়ার মত একটি ব্যাপার. কিভাবে একটি মহিলা ওএকজন পুরুষ যাদের উপর ছেলেমেয়েদের পড়ানোর দায়িত্ব রয়েছে তারা এমন অনৈতিক ইচ্ছাপূরণ করতে পারে "

Sunday, July 17, 2011

প্রতারক ও ভন্ড হাসিনা - আওয়ামী মিথ্যাচার

http://freeonlinehotnews.blogspot.com
প্রতারক ও ভন্ড হাসিনা - আওয়ামী মিথ্যাচার


১০ টাকা কেজি চাউল খাওয়ানোর কথা বলে শেখ হাসিনা জনগনের সাথে প্রতারনা করেছে। আর এখন তারা বলছে ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা তারা বলেননি। আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে ৯ম জাতিয় সংসদ নিরবাচনের ৩/৪ দিন আগে শেখ হাসিনা শেরপুরের এক জনসভায় বলেছিলেন যদি ১০ টাকা কেজিতে চাল খেতে চাও তবে নৌকা মারকায় ভোট দাও। ১০ টাকা কেজি চাউলের মারকা নৌকা মারকা, গরিব মানুষের মারকা নৌকা মারকা। আর এখন বলছ এমন কথা আমাদের নিরবাচনি ইশতাহারে নেই। এই হল ডিজিটাল প্রতারনা। কেয় তো বলছেনা যে নিরবাচনি ইশতাহারে আছে। বলা হচছে ভোটের আগে হাসিনা জনসভাই বলেছিল ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানো হবে। ঘরে ঘরে চাকরি দেওয়া হবে, বিনামুললে সার দেওয়া হবে। বিনা মুললে তো দুরের কথা - এই কিছুদিন হল ইউরিয়া সারের মুলল ছিল ৬ টাকা কেজি আর এখন তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১২ টাকা কেজি। ছি হাসিনা তোমার লজজা করেনা গরিব দুখি মানুষের সাথে এমন প্রতারনা করতে।

আরো প্রতারনা: নিজে মাথায় হেজাব পরে কিনতু ছেলে বিয়ে দিছে খৃস্টানের সাথে। রাত দিন বাংগালি-বাংগালি-সোনার বাংলা করে কান মাথা ঝালাফালা করে দাও কিনতু ছেলের বউ বানানোর জন্য একজন খাটি বাংগালি মুক্তিযোদ্ধার কন্যা খুজে পেলে না। এই তোমার দেশ প্রেম। আসলে তোমরা দুবোন বাংগালি-সোনার বাংলা- বংগবন্ধু এসব ভাংগাচছ আর আমেরিকা/কানাডা /লনডন ছেলেমেয়েদের রেখেছ সরগ সুখে।ছেলেকে বিয়ে দিচছ ইহুদির সাথে, ভাগনে বিয়ে দিচছ খৃস্টানের সাথে। এই তোমার দেশ প্রেম । সোনার বাংলাই কি তোমাদের ছেলেদের বউ হবার জন্য কি কোন সোনার মেয়ে ছিল না।

প্রতারণার ভবিষ্যত প্রকল্প: আমার ধারনা আগামী নিরবাচনের আগে সারের দাম কমিয়ে দিয়ে কৃষকের সাথে প্রতারনা করা হবে। কিছুদিনের জন্য চাউলের দাম মাত্রাতিরিক্ত কমিয়ে দিয়ে ভোটের গেম খেলবে। তাই এখন থেকেয় এব্যাপারে সজাগ হউন , জনতা কে সজাগ করুন।

Thursday, July 14, 2011

Bangladesh Chatro Legue Terrorism Acvisit - 05

http://freeonlinehotnews.blogspot.com
ছাত্রলীগ ভয়ংকর
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে গতকাল সোমবার রাতে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে আহত করেছে ছাত্রলীগকর্মীরামশিউর রহমান নামের ওই ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
সহপাঠীরা জানান, দর্শন বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র মশিউর গতকাল রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেটে কেনাকাটা করছিলেনএ সময় ছাত্রলীগকর্মী ফিরোজের নেতৃত্বে ১০-১২ জন মশিউরের ওপর হামলা চালায়তারা হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ জখম করেএকপর্যায়ে তারা মশিউরের পায়ে পেরেক ঢুকিয়ে দেয়এ সময় তিনি সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন
পরিবহন মার্কেটের দোকানিরা মশিউরকে সাহায্য করতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাঁদের ওপরও চড়াও হয়তারা শতরূপা স্টুডিওর মালিক জামিলকে পিটিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মশিউরকে উদ্ধার করে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র এবং পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেতবে এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর চৌধুরী আহম্মদ জাকারিয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবেএর আগেও বিভিন্ন ঘটনায় ছাত্রলীগের কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছেতদন্ত করে অভিযোগের প্রমাণ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে'
মশিউর বিশ্ববিদ্যালয়ের আমির আলী হলের আবাসিক ছাত্রতাঁর বাড়ি গাইবান্ধায়শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চিকিৎসাধীন মশিউরের জ্ঞান ফেরেছে

Wednesday, July 13, 2011

Bangladesh Chatro Legue Terrorism Acvisit - 04


10 BCL men rape girl

Farcical arbitration let 16 culprits get away with fine of Tk 10,000 each; victim's poor father dares not to file case

Ten activists of Bangladesh Chhatra League (BCL) allegedly gang-raped a teenage girl Friday night and were later handed down mere punishment at village arbitration arranged to ensure their escape by local Awami League leaders.
Family sources say the AL leaders compelled the victim's father not to go for legal action and also took their signatures on three blank sheets to stop any future move to that end.
Police also released two of the accused held on the spot while handing the victim over to her father early Saturday morning.
A band of 16 youths kidnapped the girl, a class VII student of Pakhimara in Kalapara upazila, Friday night when she was returning home on a rickshaw from a Puja mandap with her cousin Nasir Uddin.
The BCL men beat up Nasir, drove him away and took the girl to a nearby garden. Ten of them raped the girl until her relatives with police rushed to the scene to rescue her around 2:00am.
Sub-inspector Kabir Hossain of Kalapara police station held two of the culprits -- Rajib and Sohag -- from the spot but freed them later after handing over the girl to her family.
Later on Sunday, local AL leaders including Kalapara upazila unit Secretary Rakibul Ahsan and Upazila Parishad Vice-Chairman Sultan Mahmud arranged the arbitration at Kalapara Girls' School in the evening.
The village arbitration in a farcical judgement fined all the 16 Tk 10,000 each and that they all be whipped 100 times each.
But four days into the grisly incident the victim's father, a poor farmer, still does not dare to file a case.
He said, "Rakibul (AL leader) and his men took signatures of me and my daughter on three blank sheets asking us not to seek justice anywhere else."
Rakibul Ahsan denied the allegation. He claims, "The youths did not rape the girl, they just made an attempt. We punished them so that they don't indulge into such activities in future."
The Kalapara AL leader also denied their political identity as BCL activists dubbing them as "spoilt brats".
Contacted, Kalapara police Officer-in-Charge (OC) Ishaq Ali said they released Rajib and Sohag as the victim's father did not file any complaint.
He says he does not know anything about the village arbitration, adding the police would not file any case of their own and "take legal steps if any complaint is filed".
The gang members were identified as Rajib, Rubel, Ratul, Pobitra, Mojibur, Omer, Rana, Sohel, Regan, Lalu, Jewel, Sohag, Bappi of Nayapara, Saiful and Munim of Madrasa Road in Kalapara upazila town and Al-Amin of Dhankhali.

Bangladesh Chatro Legue Terrorism Acvisit - 03

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আতঙ্কের নাম ছাত্রলীগ

আনু মোস্তফা ও আসাদুর রহমান

গত ৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের নৃশংস হামলায় ছাত্রলীগকর্মী ফারুক নিহত ও অর্ধশত ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনার জের ধরে প্রায় এক যুগ পর শিবিরের রাহুমুক্ত ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা মুক্ত পরিবেশের প্রত্যাশা করেছিলেনকিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই তাঁদের ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসী ক্যাডাররাগত সাত মাসে ক্যাম্পাসে অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা ঘটিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে ছাত্রলীগ এখন একটি আতঙ্কের নাম
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা ড. চৌধুরী সারওয়ার জাহান সজল আক্ষেপ করে বলেন, ২০০১ সালের জুলাই থেকে ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ক্যাম্পাসে সংগঠনের নামে বাতি জ্বালানোর জন্য ছাত্রলীগের কাউকে খুঁজে পাওয়া যেত না কিন্তু এই সরকার ক্ষমতার আসার পর কোথা থেকে এত ক্যাডার সংগঠনে ঢুকে পড়ল কেউ বলতে পারে নাএরাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতির শবদেহে শেষ পেরেকটি ঠুকে দিয়েছে ১৫ আগস্ট
এই দিন নিজের দলের কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমকে এসএম হলের ছাদ থেকে পৈশাচিক কায়দায় নিচে ফেলে দেয় ছাত্রলীগ নামধারী ক্যাডাররা২৩ আগস্ট ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নাসিমের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এই ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের শবযাত্রা শুরু হলো_মন্তব্য করেন প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক প্রবীণ শিক্ষকতিনি বলেন, 'এখন কী আর করা, আবার শিবিরের রাজ্যে অবরুদ্ধ হয়ে থাকা!'
অনুসন্ধানে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি ৯ বছরের পুরনো কমিটি বিলুপ্ত করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি করা হয় নামকাওয়াস্তে কাউন্সিলের মধ্য দিয়েএই কমিটি ঘোষণার আগে কোনো নেতা-কর্মীর মতামত নেওয়া হয়নিপাবনা গ্রুপের আওয়াল কবির জয়কে সভাপতি ও রাজশাহী গ্রুপের মাজেদুল ইসলাম অপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়রেজওয়ান আহমেদ শুভ্রকে সহসভাপতি, ফুয়াদ হোসেন মুরাদ ও আবু হোসেন বিপুকে যুগ্ম সম্পাদক এবং ইলাকে করা হয় সাংগঠনিক সম্পাদককমিটি গঠনের দিন থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে গ্রুপিং শুরু হয়
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মার্চ পরীক্ষা চলার সময় হলে প্রবেশ করে শিবির খোঁজার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সভাপতি জয়ের নেতৃত্বে একদল ক্যাডার বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদিসহ অন্য শিক্ষকদের গালাগাল দেওয়া ছাড়াও তাঁদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেগত ১ এপ্রিল জয় গ্রুপের ছাত্রলীগকর্মী কাউসার তাপসী রাবেয়া হলের সামনে প্রেমের প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় প্রকাশ্যে এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেএই ঘটনার পর কাউসার ক্যাম্পাস ছেড়ে যায়পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কাউসারের ছাত্রত্ব বাতিল করে
গত ৬ এপ্রিল রাতে শহীদ শামসুজ্জোহা হলের শিবির নিয়ন্ত্রিত সিলগালা করা একটি কক্ষ খোলার সময় বাধা দিলে সভাপতি জয়ের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা হল প্রাধ্যক্ষ ড. মোর্তাজা খালেদকে তাঁর কক্ষে তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে প্রক্টরের উপস্থিতিতেই ক্যাডাররা প্রাধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করে ও হল অফিসের তিনটি কক্ষে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়
মোটা অঙ্কের চাঁদা না পেয়ে গত ১৮ এপ্রিল জিয়াউর রহমান হল থেকে তুলে এনে অনুশীলন নাট্যদলের কর্মী মামুনুর রশীদ জনিসহ তিনজনকে সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫৭ নম্বর কক্ষে নিয়ে সিগারেটের আগুনে শরীরে ছেঁকা দেওয়া হয়কক্ষটি তালাবদ্ধ করে তাঁদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে নির্যাতন করা হয় ছাত্রলীগকর্মী মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বেপরে সাধারণ ছাত্ররা জনিসহ তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানএই ঘটনায় মাসুদ পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা হলেও পুলিশ কখনো তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করেনিজানা যায়, মাসুদ পারভেজ একসময় ছাত্রদল করতপরে সভাপতি জয়ের ছত্রচ্ছায়ায় ছাত্রলীগে ঢুকে পড়ে সে
এসএম হলের ছাত্ররা জানান, গত ৯ জুন সভাপতি জয় গ্রুপের ক্যাডার ফেরদৌস প্রতিপক্ষ অপু গ্রুপের কর্মী মিঠুন হালদারের একটি নতুন সাইকেল চুরি করেহল প্রশাসন তদন্ত করে নিশ্চিত হয় ফেরদৌসই এ কাজ করেছেকর্তৃপক্ষ ফেরদৌসকে কক্ষ থেকে বের করে দেয়এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে ফেরদৌস দলবলসহ মিঠুনের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়ে তাঁকে গুরুতর আহত করে
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ক্যাডারদের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৫ বার সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়েছেএতে শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়মতিহার থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, এই কয় মাসে ছাত্রলীগ-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে উভয় পক্ষে থানায় এক ডজন মামলা হয়েছেএসব মামলার তদন্তকাজও চলছে
জানা যায়, সর্বশেষ গত ৮ আগস্ট জয় ও অপু গ্রুপের ক্যাডারদের সশস্ত্র সংঘর্ষে ক্যাস্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে গোলাগুলি চলে পুলিশের সামনেইউভয় গ্রুপের ২৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়উভয় গ্রুপের পক্ষে মতিহার থানায় মামলা হয়পরস্পরের বিরুদ্ধে মামলায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আসামি করা হয়এই দিন সন্ধ্যার পর পুলিশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সাধারণ সম্পাদক অপুকে গ্রেপ্তার করে বর্তমানে সে জেলহাজতেএই সংঘর্ষের পর কেন্দ্রীয় কমিটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত করে১৫ আগস্ট জয় গ্রুপের ১০-১২ জন ক্যাডার ছাত্রলীগকর্মী নাসরুল্লাহ নাসিমকে নির্যাতনের পর এসএম হলের ছাদ থেকে নিচে ফেলে দেয়এর পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়ী ছাত্রলীগ ক্যাডারদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিতে উদ্যোগী হয়নি
শিবিরমুক্ত সাত মাসের ক্যাম্পাসে সভাপতি জয় শিবির ধরার নাম করে হলে ও হলের বাইরে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করেনছাত্রলীগ নেতা ওয়ালিদ আহমেদ কমল বলেন, কতিপয় ছাত্রলীগ ক্যাডার শিবির ধরার নামে অনেক ছাত্রকে ধরেছেনতাঁদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা আদায় করে ছেড়েও দিয়েছেনতিনি আরো বলেন, অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, শিবিরের ক্যাডাররা সংশ্লিষ্ট হলের ছাত্রলীগের প্রভাবশালী ক্যাডারদের সঙ্গে গোপনে যোগোযোগ করে টাকা-পয়সা দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছে
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, ছাত্রলীগ ক্যাডারদের অত্যাচারে হলের সাধারণ ছাত্ররাও অতিষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১টি ছাত্র হল থেকে গত ছয় মাসে সাড়ে তিন শতাধিক আবাসিক ছাত্র ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে বা বাসাবাড়িতে গিয়ে উঠেছেনআবাসিকতা বাতিল করা এসএম হলের ছাত্র শহীদুল বলেন, ছাত্রলীগ নেতা পরিচয়ে কেউ কেউ এমন বাড়াবাড়ি করছে যে আর হলে থাকাই গেল না
সূত্রে আরো জানা গেছে, গত সাত মাসে শামসুজ্জোহা, এসএম সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু হলের বিভিন্ন কক্ষের সিলগালা করা কক্ষগুলো থেকে শতাধিক কম্পিউটার লুট করেছে কতিপয় ছাত্রলীগ ক্যাডারএসব কক্ষ শিবির দখলে নিয়ে সাধারণ ছাত্রদের কাছে ভাড়া দিয়ে রেখেছিল৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর এসব কক্ষে থাকা ছাত্ররাও পালিয়ে যানপরে ফিরে এসে কম্পিউটারসহ রেখে যাওয়া জিনিসপত্র পাননি তাঁরাএ প্রসঙ্গে ফলিত রসায়নের চুতর্থ বর্ষের ছাত্র সানি জানান, তিনি কোনো রাজনীতি করেন নাকিন্তু সোহরাওয়ার্দী হলে শিবিরের দখল করা একটি রুমে মাসিক ৬০০ টাকা ভাড়ায় থাকতেন৮ ফেব্রুয়ারি রাতে হল ছেড়ে যান তিনিরুমে কম্পিউটারও ছিল৮ ফেব্রুয়ারির পরপরই সেটি ছাত্রলীগের কয়েকজন ক্যাডার রুম খুলে নিয়ে যায় বলে হল কর্মচারীদের কাছ থেকে জানা গেছেতাই এখন হল ছেড়ে তিনি মেসে উঠেছেন
আরবি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান সজল বলেন, গত ২০ জুলাই ছাত্রলীগকর্মী সবুজ সারওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভালোভাবে পড়ালেখা করতে হলে তাকে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে জানায়' তিনি বলেন, ২৩ জুলাই সবুজ মেসে গিয়ে চাঁদা নেওয়ার জন্য তাঁকে ভয়-ভীতি দেখায়চাঁদা না দিয়ে ক্যাম্পাসে গেলে শিবির পরিচয়ে তাঁকে পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়গত কাউন্সিলের সময় সবুজ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিল
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. চৌধুরী মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, 'এদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তথ্য সংগ্রহ করছেকে কোন বিভাগে পড়ে, বাড়ি-ঘরের ঠিকানা, আগে কী করত, ক্যাম্পাসে কে কখন কী ধরনের বিশৃঙ্খলা করেছে তার সব বিবরণই আমরা সংগ্রহ করছি' ক্যাম্পাসে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে বলে তিনি জানানতিনি আরো বলেন, এভাবে একটি ছাত্র সংগঠন চলতে পারে নাএত বিশৃঙ্খলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১৬ জুন মাদার বখশ হলে জয়-অপু গ্রুপের ক্যাডারদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ ক্যাডার শাহনেওয়াজ টোকন, রুহুল আমিন বাবু, ফারুখ হোসেন, আলিম ও আনোয়ারকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় পরদিন ১৭ জুন সাবেক সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন মুন, জয়, অপুসহ ছাত্রলীগ নেতারা থানায় গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে আনেনএভাবে আটকের পর থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া প্রসঙ্গে মতিহার থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন, 'নেতারা এসে বললেন, তারা আর কোনো ঝামেলা করবে নাতা ছাড়া আমরা নিজেরাই মীমাংসা করে ফেলেছিতাই ওদের ছেড়ে দেওয়া হয়'
বক্তব্য নিতে চাইলে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আওয়াল কবির জয় বলেন, 'একটু পরে কথা বলছি' পরে তিনি তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এম সোবহান বলেন, 'কাম্পাসে সৃষ্ট বিশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আমরা চেষ্টা করেছিকাউসার নামের এক ছাত্রলীগকর্মী একটি মেয়ের গায়ে হাত দিয়েছিল, আমরা তার ছাত্রত্ব বাতিল করেছি' চরম বিশৃঙ্খলা করেছে এমন ছাত্রদের তালিকা করে তাদের ব্যাপারেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা কর্তৃপক্ষ ভাবছে বলে তিনি জানান

Bangladesh Chatro Legue Terrorism Acvisit - 002

জাহাঙ্গীরনগরে ভয়ংকর ছাত্রলীগ
আধিপত্য নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর কার্যক্রম স্থগিত
১৩ জনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার ইমন রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

 
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে একজন সহকারী প্রক্টরসহ ৩০ জন আহত হয়েছেনএর মধ্যে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন ও সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্যের পক্ষের নেতা-কর্মীরা এ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়সংঘর্ষের সময় কয়েকজনকে মারধরের পর ফেলে দেওয়া হয় ৪ তলা হল ভবনের ছাদ থেকেসংঘর্ষ থামাতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরজু মিয়াকেও লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৭ শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছেঘটনা তদন্তে উপ-উপাচার্য ড. ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছেএ ছাড়া ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি সংগঠন থেকে ১৩ ছাত্রলীগকর্মীকে বহিষ্কার করেছেপাশাপাশি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রমও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে
গতকাল সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলবেরুনী হলে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় পরে তা পুরো ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়েসংঘর্ষে উভয় পক্ষ প্রায় ২০টি গুলি ছোড়ে আহতদের তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ঘটনায় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছেপরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ক্যাম্পাসে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে
ঘটনার সূত্রপাত : প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি পক্ষের আলবেরুনী হলের ছাত্রলীগকর্মী কাজী মুস্তফা মনোয়ার সজীব হল থেকে তাঁর নাট্যতত্ত্ব বিভাগে যাওয়ার উদ্দেশে বের হনতিনি ক্যাম্পাসের পরিবেশবিজ্ঞান ভবনের সামনে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মী একই হলের এনায়েত কবীর এ্যামিলের (বাংলা বিভাগ) জুনিয়র কর্মীরা তাঁকে রড, লাঠি, হকিস্টিক, রামদা ও চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হলে চিকিৎসকদের সামনে আবারও এ্যামিল গ্রুপের ক্যাডাররা রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেএ সময় মেডিক্যাল সেন্টারের নার্স মাহমুদা পারভিন লাঞ্ছিত হন
সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে : এ সংঘর্ষের খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়সজীবের ওপর হামলার প্রতিশোধ নিতে মেডিক্যাল সেন্টারের সামনে সভাপতি পক্ষের বিভিন্ন হলের কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, রড, লাঠি ও রামদা নিয়ে একত্রিত হয়সেখান থেকে তারা আলবেরুনী হলের দিকে অগ্রসর হলে হলের মূল ফটকে তালা দিয়ে আত্দরক্ষা করার চেষ্টা করে সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মীরাএ সময় সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেনখবর পেয়ে সেখানে যান উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. আরজু মিয়াএ সময় উপাচার্য সজীবের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দিয়ে শান্ত করার চেষ্টা করেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ ক্যাডারদেরকিন্তু তারা উপাচার্য ও প্রক্টরের কথা না শুনে হলের মূল ফটকের তালা ভাঙতে শুরু করেতালা ভাঙতে বাধা দিতে গেলে তাঁদের লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগ ক্যাডাররাউপাচার্যের উপস্থিতিতেই সাতটি ফাঁকা গুলি চালায় তারাএকপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে উপাচার্য তাঁর গাড়িতে উঠে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন
ছাত্রলীগের ওপরই ছাত্রলীগের বর্বর হামলা : উপাচার্য ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর সভাপতি পক্ষের কর্মীরা তালা ভেঙে হলে ঢুকে প্রতিপক্ষের কর্মীদের এলোপাতাড়ি মারধর করতে শুরু করেতারা হলের তৃতীয় তলায় উঠে সাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মীদের মারধর করে জানালা দিয়ে ফেলতে থাকেসাধারণ সম্পাদক পক্ষের কর্মীরা হলের চতুর্থ তলায় ছাদে আশ্রয় নিলে সেখানেও হামলা চালায় সভাপতি পক্ষের কর্মীরাএ সময় এ্যামিলসহ সাত-আটজন কর্মীকে পিটিয়ে ছাদ থেকে ফেলে দেয় তারা প্রক্টরিয়ালবডির সদস্যরা অনেক চেষ্টা করেও ছাত্রলীগ ক্যাডারদের থামাতে পারেননি
মারধর চলাকালে সহকারী প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া গুরুতর আহত ছাত্রলীগ কর্মী এ্যামিলকে রিকশায় করে মেডিক্যাল সেন্টারের উদ্দেশে রওনা দেনএ সময় ছাত্রলীগ ক্যাডাররা সহকারী প্রক্টর ফিরোজের ওপরও হামলা চালায়এতে তিনি ডান হাতে আঘাত পান
আলবেরুনী হলে মারধর চলাকালে গুরুতর আহত হন সাধারণ সম্পাদক পক্ষের রিয়াল (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), জয়ন্ত (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), সোহেল (ইতিহাস), জাহিদ (বাংলা), সকাল (বাংলা), বিজয় (বাংলা), আরিফ (বাংলা), তনয় (পরিবেশবিজ্ঞান), মুন্না (পরিবেশবিজ্ঞান) ও রাজিব (প্রত্নতত্ত্ব)
একই ঘটনার সূত্র ধরে দুপুর ১টার দিকে সাধারণ সম্পাদক নিয়ন্ত্রিত আ ফ ম কামাল উদ্দিন হল ও সভাপতি নিয়ন্ত্রিত শহীদ সালাম-বরকত হলের ছাত্রলীগের দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধেএ সময় উভয় পক্ষ পরস্পরের প্রতি প্রায় ১৩টি গুলি ছোড়ে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানানএ সংঘর্ষে ইতিহাস বিভাগের ৩৭তম ব্যাচের শিমুল (শহীদ সালাম-বরকত হল) বুকে এবং দর্শন বিভাগের একই ব্যাচের উজ্জ্বল (কামাল উদ্দিন হল) পেটে গুলিবিদ্ধ হনপরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেআহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, পঙ্গু হাসপাতাল ও স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বর্তমানে জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছেযেকোনো মুহূর্তে আবারও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
জরুরি বৈঠক ও বহিষ্কার : বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ছাত্রদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে গতকাল সন্ধ্যা ছয়টায় ডিসিপ্লিনারি কমিটির সভা করেওই সভার সুপারিশ অনুমোদনের জন্য সাড়ে সাতটায় জরুরি সিন্ডিকেট সভা আহবান করা হয়সিন্ডিকেট সভায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে উপাচার্য ১৭ জনকে শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেনএছাড়া ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছেকমিটিকে ঘটনা তদন্ত করে ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছেবহিস্কৃত শিক্ষার্থীরা ছাড়া আরো কেউ ঘটনায় জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিন্ডিকেট সভায় জানানো হয়
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কৃত ছাত্ররা হলেন রবিউল ইসলাম সূর্য (গণিত), পরিতোষ চাকমা (ফার্মেসি), শাহাদাৎ হোসেন রেজা (প্রত্নতত্ত্ব), রকিবুল হাসান রানা (গণিত), ফয়সাল হোসেন (গণিত), তৌহিদুল ইসলাম জয় (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), রাইসুল হাসান শামিম (নৃবিজ্ঞান), আরেফিন রাবি্ব ছন্দ (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), এস এম কামরান হাসান (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), অভিজিৎ চৌধুরী (দর্শন), আরিফুল হক (বাংলা), তোফাজ্জল হোসেন ইমন (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), মহিউদ্দিন আহমেদ মাহী (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব), বিজয় কুমার দাস (বাংলা), শুভাশিষ কুন্ডু টনি (প্রত্নতত্ত্ব), স্বাধীন (প্রত্নতত্ত্ব) ও সুমন (রসায়ন)
সংঘর্ষের ব্যাপারে ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন বলেন, সংঘর্ষের ঘটনাটি আলবেরুনী হলের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এ ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ও ইন্ধনদাতাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় সংগঠনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবি করেন
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আরজু মিয়া বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ছাত্রলীগের ১৩ কর্মীকে বহিষ্কার: অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পেয়ে গতকাল বিকেলে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেপরে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার ১৩ কর্মীকে বহিষ্কার করে
দল থেকে বহিষ্কৃত কর্মীরা হলো কাজী মারুফ সজীব, বিজয় কুমার দাশ, পারভেজ, দেবব্রত প্রিয় জনি, আরিফুল হক আরিফ, খায়রুল বাশার রাজু, শুভাশীষ কুণ্ড টনি, মহিউদ্দিন আহমেদ মুহি, উজ্জ্বল কুমার দাশ, চয়ন, সকাল, স্বাধীন ও পলাশ
গতকাল সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন ও সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন স্বাক্ষরিত পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারের কথা জানানো হয়বিশৃঙ্খল ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ সভাপতি মাহমুদ হাসান রিপন বলেন, 'জাহাঙ্গীরনগর ছাত্রলীগের আজকের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কার্যনির্বাহী কমিটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে
উল্লেখ্য, গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে সে সময়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছিলপরে ওই কমিটি বাতিল করে গত ১৯ মে সভাপতি রাশেদুল ইসলাম শাফিন ও সাধারণ সম্পাদক নির্ঝর আলম সাম্যের নেতৃত্বে নতুন কমিটি করা হয়